দোয়া কবুল করানের নিয়ম

১। প্রথমে আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ'লামীন” বলে আল্লাহ তায়া’লার শুকরিয়া আদায় করতে হবে।


২।  নবীর প্রতি দরুদ “আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা ছাইয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ পড়তে হবে।


৩। তারপর রব্বিগ ফিরলি” অর্থ হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। বলার পর

    আল্লাহর কাছ থেকে যা যা চাওয়ার আছে তা চাইতে হবে।


দোয়া করার আগে বা ঘুম থেকে ওঠার পরে যেভাবে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়ে থাকে


ঘুম থেকে ওঠার পরে বলতে হবে 

১। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ'লা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”

২। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ


এরপর আল্লাহুম্মাগ ফিরলি বলার পর


আল্লাহর কাছ থেকে যা যা চাওয়ার আছে তা চাইতে হবে।

তবে দোয়া করার সময় ওসিলা নিয়ে দোয়া করতে হবে। ওসিলা নিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়া’লা দোয়া ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করেন। ওসিলাগুলো এই রকম হতে পারে 

যেমনঃ হে আল্লাহ আমি যে আপনার ঘরে  দান করেছি বা ফকির, গরীব, মিসকিনকে দান করেছি  সেই উসিলায় আমার রিজিকের মধ্যে বরকত দিয়ে দিন রিজিকের প্রশস্ততা দান করুন রিজিক বৃদ্ধি করে দিন। আমি যে নামাজ পড়লাম এই নামাজের উসিলায় আমার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন ।  আল্লাহর গুনবাচক নাম নিয়ে দোয়া করা ,  ইজমে আজমের ওসিলায় দোয়া করা অর্থাৎ যে যে ভালো কাজ করছি সে উসিলায় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।


আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দোয়া করার সময় আল্লাহ তায়া’লার তাওহীদের উসিলা করে দোয়া করতে হবে তাহলে আল্লাহ তায়া’লা অবশ্যই দোয়া কবুল করে থাকেন তাওহীদ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।


তবে শর্ত হলো দোয়া করার আগে রিযিক অবশ্যই হালাল হতে হবে। এবং গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে এবং বেশি বেশি আল্লাহর জিকির ও নবীর প্রতি দরূদ শরীফ পড়তে হবে। নিজের গুনাহের কথা স্বরণ করে “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলে তওবা করতে হবে।


*** দোয়া করার পূর্বে ৭বার “ইয়া যাল জালালি ওয়াল-ইকরাম”  “হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম পড়ে তারপর দোয়া করে আল্লাহ তায়া’লা দোয়া কবুল করে থাকেন।



Leave a Comment