আটটি অভ্যাসে সমাধান ৯৯ ভাগ সমস্যা🟠

১) লক্ষ্য নির্ধারণ : 

সুস্পষ্ট ও অর্জন করা যায় এমন লক্ষ্য নির্ধারণ সমস্যা সমাধানের দিকনির্দেশনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যায়। ফলে কার্যকরীভাবে সমস্যা সমাধানে আত্মনিয়োগ করা সম্ভব হয়।

২) বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাদক্ষতা : 

নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও নানা পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় নেওয়ার দক্ষতা ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে মানুষের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৩) কার্যকরী যোগাযোগের ক্ষমতা : 

কথ্য ও লেখ্য উভয় মাধ্যমেই এমনভাবে দক্ষ হতে হবে, যেন নিজের মনোভাব কোনো ভুল বোঝাবুঝি ব্যতিরেকেই প্রকাশ করা সম্ভব হয়, যেন অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি উদ্ভব না হয়।

৪) সময় ব্যবস্থাপনা : 

দক্ষভাবে সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা, সময় ভাগ করে যথাসময়ে কাজগুলো করা এবং দীর্ঘসূত্রতা এড়িয়ে চলতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান যেমন করা যায় দক্ষভাবে, তেমনি অনেক সমস্যা তৈরিই হতে পারে না।

৫) শেখার কোনো শেষ নেই : 

‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র’। সত্যিই তাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি লাভ করলেই শেখা শেষ হয়ে যায় না। জীবনের চলার পথে, পেশাগত জীবনে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেসব সমস্যার অনেকগুলোই আমরা প্রথমেই সমাধান করতে পারি না। সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও আমরা জানতে পারি কীভাবে ওই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। পৃথিবী থেমে নেই। প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে নতুন জ্ঞান ও উন্মোচিত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন দিক। নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে রাখতে হবে আপ-টু-ডেট।

৬) মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা : 

মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বলা হয় অভিযোজন ক্ষমতা। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে অভিযোজন ক্ষমতা বলে। কম্পিউটার যখন এলো, তখন অনেকেই তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। তারা জব মার্কেট থেকে ঝরে পড়েছে।

৭) সমস্যা সমাধানের কৌশল : অনেকেই মনে করেন সমস্যা চিরতরে সমাধানের থেকে সাময়িকভাবে সমাধান উত্তম। কারণ তাহলে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে না। এটি একটি নেতিবাচক ধারণা। সমস্যা সমাধানের কৌশল নির্ধারণের ইতিবাচক ধারণা হলো, যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ফল বিবেচনায় নিতে হবে। নিকট ভবিষ্যতের লাভের কথা চিন্তা করে দূর-অতীতে ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না।

৮) নিজের পরিচয়ের প্রতি যত্নবান হন :

নিজের চিন্তা ও মনোভাব না লুকিয়ে প্রকাশ করুন। এতে দ্বিচারিতা সংকট থেকে বেঁচে যাবেন। নিজের চিন্তা, আবেগ ও মূল্যবোধের প্রতি সৎ হন। নিজের যত্ন নিন। যারা আপনাকে সম্মান করে, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে তাদের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।

Leave a Comment